বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
কক্সবাজারে ৯ দিনে ৭৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অর্ধশতাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতা হিমছড়ি সৈকতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর একজনের মরদেহ উদ্ধার শহর গ্রামে বেড়েছে চোরের উপদ্রব মহেশখালীর সব্বির আহমেদ, আব্দুল জলিল ও মৌলানা ইলিয়াসের মৃত্যুতে ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদের শোক হোয়াইট হাউসের ধন্যবাদ পেল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ‘ভালো’ বলা পর্যবেক্ষকদের আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে না নেয়ার ইঙ্গিত সিইসির এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তাসনিম জারাকে নিয়ে কটুক্তিকারী মেকানিক রেজাউল বরখাস্ত হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে

ভয়েস প্রতিবেদক,উখিয়া:

উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মো. মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল তার পরিবারের সদস্যরা। ফলে মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ ৯ পরিবারকে অন্যত্র একটি সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের এ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের পর থেকে তার ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ, স্ত্রী নাসিমা খাতুনসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের অপরিচিত নম্বর থেকে মেসেজ পাঠিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, এসব হুমকির ঘটনা কেন এবং কারা ঘটাচ্ছে তা নিয়েও কাজ করছেন মামলার তদন্তকারীরা।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ কয়েকজনকে ক্যাম্পের ভেতরে একটি সেন্টারে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয়টি এমন নয় যে, অনিরাপত্তার কারণে তাদের সরানো হয়েছে। মূলত মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে তাদের সরিয়ে রাখা হয়। যেহেতু ‘ক্রাইম সিন’ এলাকায় লোকজন যাওয়া আসা করা নিষিদ্ধ। তাদের সেখানে আমরা পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে উখিয়া লম্বাশিয়া ক্যাম্প ইস্ট-১ এর আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) অফিসের (হত্যার ঘটনাস্থল) কার্যালয়ে লাগোয়া এবং আশপাশে বসতি ছিল পরিবারগুলোর। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের মধ্যে লম্বাশিয়ায় অবস্থিত এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে হত্যা করে মুহিবুল্লাহকে।

নিরাপত্তার কারণে পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এআরএসপিএইচের উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নারী নেত্রী জামালিদা বেগম বলেন, ‘গতকাল থেকে মুহিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানসহ বেশকিছু পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে রাখা হয়েছে বলে শুনেছি। তারা এখানে থাকা অবস্থায় সব সময় ভয়ভীতির মধ্য ছিল।’

মুহিবুল্লাহর ভাগিনা এবং এআরএসপিএইচের মুখপাত্র মো. রশিদ উল্লাহ বলেন, ‘গত বুধবার মুহিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানসহ আমার স্বজনদের এখানে থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। পরদিন আরও কয়েক পরিবারকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে জায়গা পরিচিত হলেও জায়গার নাম বলা সম্ভব হচ্ছে না। আগের জায়গা থেকে আমরা এখানে ভালো আছি মনে হচ্ছে।’

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION